বাংলার প্রবাহ রিপোর্ট: পাহাড় চূড়ায় দখল নিয়েছিল চীনা সেনারা। এবার সেখান থেকে তাদের হটিয়ে জায়গা করে নিল ভারতীয় সেনা সদস্যরা। এখন পাহাড়ের চূড়া থেকে নজর রাখা হচ্ছে চীনা বাহিনীর ওপর।
প্যাংগং-এর ধারে ফিংগার-৪ এলাকায় চীনের বাহিনী অবস্থান করছিল। প্যাংগং-এর দক্ষিণ দিকে এই অপারেশন চালানো হয়েছে আগস্টের শেষের দিকে। আর তাতে সফল হয় ভারতীয় সেনা।
ওই অঞ্চলে এপ্রিল-মে মাস থেকে চীনা বাহিনী অবস্থান নিয়েছিল বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে এই অপারেশনের কথা জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, এদিন ব্রিগেড কমান্ডার স্তরে ও কমান্ডিং অফিসার স্তরের বৈঠক হয়েছে লাদাখে।
হিমালয়ের অতি উঁচু ও দুর্গম পার্বত্য এলাকায় ভারতীয় সেনার নজরদারি বাড়াতে এবার তৈরি HAl-এর কপ্টার। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে হিন্দুস্তান এয়ারোনটিকস লিমিটেড তৈরি করেছে কপ্টারটি। এটি অত্যন্ত শুষ্ক ও তীব্র দাবদাহের মধ্যেও সমান দক্ষতায় কাজ করতে পারে।
এই ধরণের লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টার বা এলইউএইচ বুধবার পার্বত্য এলাকায় ট্রায়াল শেষ করল। গত ১০ দিন ধরে দৌলতাবাগ ওলডির উচ্চ শুষ্ক পার্বত্য খাড়াইতে ট্রায়ালে ছিল এই কপ্টার। সাফল্যের সঙ্গে ট্রায়াল শেষ করে এবার সেনাতে নিযুক্ত করা হবে এলইউএইচকে।
হিন্দুস্তান এয়ারোনটিকস লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৩০০ মিটার ওপরে লেহতে এই ট্রায়াল চলছিল। প্রতিটি বিভাগেই অর্থাৎ উচ্চতা-তীব্র তাপমাত্রায় সমানভাবে পারদর্শী এই কপ্টার। দৌলত বাগ ওলডির অ্যাডভান্স ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডে ট্রায়াল শেষ হয়। উল্লেখ্য, এই গ্রাউন্ড সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ হাজার ৫০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত।
জানানো হয়েছে, এই হেলিকপ্টারটি সিয়াচেন হিমবাহেও কাজ করতে সক্ষম। ভারী জিনিস বহনে সক্ষম এলইউএইচ সেনাবাহিনীতে খুব তাড়াতাড়ি নিয়োগ করা হবে। হ্যালের সিএমডি আর মাধবন বলেন, সেনাবাহিনীর ছাড়পত্র পেলেই এটিকে কাজে লাগানো হবে। সূত্র: কলকাতা২৪
বাংলার প্রবাহ/এস এম হক