মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৮ মে দুপুরে মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া স্টিমারঘাট এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা–পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। বেলা দুইটার দিকে বড়মাছুয়া স্টিমারঘাটে পি এস টার্ন স্টিমার থেকে আসামি কালাম নামেন। এ সময় পুলিশ কালামকে প্রশ্ন করলে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ ধাওয়া করে স্টিমারঘাটের পাশের একটি মাঠ থেকে কালামকে গ্রেপ্তার করে। এরপর কালামের কাছ থেকে ৮০০টি ইয়াবা বড়ি ও ৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। কালাম চট্টগ্রাম থেকে ইয়াবা ও গাঁজা ক্রয় করে বিক্রির উদ্দেশ্যে মঠবাড়িয়া যাচ্ছিলেন।
এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক সুব্রত বিশ্বাস বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার উপপরিদর্শক ফারুক হোসেন আদালতে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলার নয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আসামির অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।