বাংলার প্রবাহ রিপোর্ট: চীনা কূটনীতিকদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে মার্কিন কূটনীতিকদের কর্মকাণ্ডের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে চীন। শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখ্যপাত্র ঝাও লিজিয়ান ঘোষণা করেছেন যে, চীনের মূল ভূখণ্ড ও হংকংয়ে মার্কিন অ্যাম্বাসি ও কনস্যুলেটগুলোকে এ বিষয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে চীনা কূটনীতিকদের ওপর নানা রকমের সীমাবদ্ধতা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিংয়ের এই পাল্টা পদক্ষেপ দুই দেশের কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব আরও বাজে রূপ নেবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত চীনা কূটনীতিকদের কার্যক্রম সীমিত করতে সম্প্রতি একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। নতুন বিধি অনুযায়ী, চীনা কূটনীতিকরা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন, দূতাবাসের বাইরে ৫০ জনের বেশি লোক নিয়ে কোনো অনুষ্ঠান করতে চাইলে বা স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে আগেই মার্কিন প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।
এদিকে, চীনা মন্ত্রণালয় সুস্পষ্ট করে বলেনি যে, মার্কিন কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীন এবং হংকংয়ে যে দূতাবাস ও কনস্যুলেট অফিসগুলো রয়েছে সেখানে কর্মরত সমস্ত মার্কিন কূটনীতিকের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, চীনা কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে আরোপিত ব্যবস্থা প্রত্যাহার করার জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। ইতিবাচক পদক্ষেপ না নিলে মার্কিন দূতাবাস এবং হংকংয়ের কনসুলেট জেনারেলসহ সমস্ত কনস্যুলেট অফিসে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, মার্কিন কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ বিবৃতিতে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, কয়েক দফায় মার্কিন সরকার চীনা কূটনিনীতিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের সীমাবদ্ধতা আরোপসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও অভিযোগ করে বলেন, চীনে মার্কিন কূটনীতিকদের কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরেই নিয়ন্ত্রণ করার যে চেষ্টা হচ্ছে তার জবাবে এ ব্যবস্থা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলার প্রবাহ/সুমন