পদ্মা সেতু চালুর পর মোংলা বন্দরে আমদানি-রফতানিতে গতি এসেছে। তবে বন্দরের নাব্য বাড়ানোসহ শুল্ক প্রক্রিয়া আরও সহজ করার দাবি ব্যবসায়ীদের। এদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষ আশা করছে, জেটি বৃদ্ধি, ইনার বার ড্রেজিংসহ অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বন্দর আরও গতিশীল হবে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর মোংলা বন্দরে আগের তুলনায় কর্মব্যস্ততা অনেক বেড়েছে। জাহাজ থেকে পণ্য খালাসে ব্যস্ত শ্রমিকরা।
সেতু চালু হওয়ার পর মোংলা বন্দরের দূরত্ব কমায় রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্য রফতানির জন্য ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বেড়েছে। গত ৩ মাসে বন্দরে ১৮১টি জাহাজ এসেছে এবং ১৮ লাখের বেশি টন পণ্য আমদানি ও রফতানি হয়েছে।
তবে মোংলা বন্দরে নাব্য বৃদ্ধিসহ, জেটির সংখ্যা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শুল্ক প্রক্রিয়া আরও সহজ করার দাবি করেন ব্যবসায়ী। এ বিষয়ে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েনের সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, মোংলা বন্দরে স্থায়ী জেটিতে নাব্য বৃদ্ধি করতে হবে।
মোংলা কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুলতান হোসেন খান বলেন, জেটিতে যে পরিমাণ পণ্য আসা উচিত, সে পরিমাণ পণ্য কিন্তু আসছে না।
গত অর্থবছরের এ সময়ের তুলনায় গত ৩ মাসে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ২০ শতাংশ রাজস্ব বেশি আদায় করেছে। মোংলা কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার মুহাম্মদ মাহফুজ আহমেদ বলেন, বৈশ্বিক এ মন্দার মধ্যে আমদানি রফতানি পুরো দেশে কমে যাওয়ার সত্ত্বেও আমরা আমাদের ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছি।
এ দিকে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নতুন জেটি নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন ৭০টি যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। এ ছাড়া নাব্য বৃদ্ধির জন্য ড্রেজিং প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে মোংলা বন্দর আরও গতিশীল হবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, আমরা যদি প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারি, তাহলে আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারব।
উল্লেখ্য, বর্তমানে মোংলা বন্দরের ৫টি জেটিতে একসঙ্গে ৪৭টি জাহাজ ভিড়তে পারে।