তৈরি পোশাক খাতের একক বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরের ছয় মাসে ৬০ শতাংশ রপ্তানি আয় বেড়েছে। এ সময় (জানুয়ারি থেকে জুন) দেশটিতে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ৫০১ কোটি ৯০ লাখ ডলারের পোশাক। দেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ৩১৩ কোটি ডলার।
সেই হিসাবে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অধিভুক্ত ওটেক্সা অনুসারে এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি।
ওটেক্সা তথ্য অনুসারে বাংলাদেশ একক মাস হিসেবে গত জুনে রপ্তানি করেছে ৯০ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা ২০২১ সালের জুনে ছিল ৫৪ কোটি ৫২ লাখ ডলার। সেই হিসাবে একক মাস হিসেবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬৬.২০ শতাংশ। এই সময় বাংলাদেশ ১৭ হাজার ৬০০ বর্গমিটার পোশাক রপ্তানি করে, যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১২ হাজার ২০০ বর্গমিটার। সেই হিসাবে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৪ শতাংশ।
বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘মার্কিন বাজারে আমাদের রপ্তানি ৬০ শতাংশ বেড়েছে। তবে ওই সময় বৈশ্বিক পরিস্থিতি এখনকার মতো ছিল না। বিশ্বমন্দার কারণে এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কার্যাদেশ এবং বুকিং কমিয়ে দিয়েছে। কেউ বিলম্ব শিপমেন্টের কথাও বলছে। ’
তিনি বলেন, ‘গত দেড় বছরে সুতার দাম ৬২ শতাংশ, মালবাহী পরিবহন খরচ বেড়েছে ৫০ শতাংশ, রং-রাসায়নিক খরচ বেড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ, ন্যূনতম মজুরি গত বছরের শুরুতে ৭.৫ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে আমাদের গড় উৎপাদনে গত পাঁচ বছরে খরচ বেড়েছে ৪০-৪৫ শতাংশ। সেই সঙ্গে উৎপাদনশীলতা এবং দক্ষতা আমাদের জন্য একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়। কারণ বাংলাদেশে গড় উৎপাদনশীলতা প্রায় ৪৫ শতাংশ, ভিয়েতনামে উৎপাদনশীলতা ৫৫ শতাংশ এবং তুরস্কে ৭০ শতাংশ। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে উদ্যোক্তারা নিজ নিজ সরকারের কাছ থেকে সমর্থন পাচ্ছেন, যা তাদের এগোতে সাহায্য করছে। আমরা সরকারের কাছ থেকেও কিছু নীতিগত সহায়তা চাই। ’
সরকার নীতিগত সহায়তা দিলে আমরা এগিয়ে যাব উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগের মতো সহযোগিতা এবং সহায়ক পদক্ষেপের মাধ্যমে এই কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারব।