বাংলার প্রবাহ রিপোর্ট: ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি পারাবত-১১ নামে একটি লঞ্চের কেবিনে এক নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার ভোরে লঞ্চটি বরিশাল নদী বন্দরে পৌঁছার পর মধ্য বয়সী ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
পারাবত লঞ্চ কোম্পানির স্থানীয় কর্মকর্তা মো. সেলিম জানান, গত রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটে ঢাকার সদরঘাট থেকে এক ব্যক্তি ওই নারীকে সাথে নিয়ে এমভি পারাবত-১১ লঞ্চের তৃতীয় তলার ৩৯১ নম্বর সিঙ্গেল কেবিনে ওঠে। লঞ্চের রেজিস্ট্রারে তার নাম দেয়া হয় কামরুল।
সোমবার ভোর ৪টা ৪৭ মিনিটে লঞ্চটি বরিশাল নদী বন্দরে নোঙ্গর করলে ওই নারীর সাথে থাকা পুরুষ ব্যক্তি নিহত নারীর ব্যাগ, মাস্ক এবং ওড়না নিয়ে ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে দ্রুত নেমে যায়। তার মুখমণ্ডলে মাস্ক পরিহিত ছিলো। অন্যান্য সকল যাত্রী নেমে যাওয়ার পরও কেবিনে থাকা নারী না নামায় কেবিন বয়রা তাকে ডাকাডাকি করে। কিন্তু কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তারা নৌ পুলিশে খবর দেয়।
ওই নারীর সাথে থাকা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে পুলিশ শনাক্ত করতে পারলেও তাকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। এ ঘটনায় মামলা দায়ের সহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
ওই নারীর সাথে থাকা পুরুষ ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী বলে সন্দেহ করছেন পারাবত-১১ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. শামীম। খবর পেয়ে নৌ পুলিশ, থানা পুলিশ এবং সিআইডি’র ক্রাইম সিন বিশেষজ্ঞ দল ওই নারীর মৃত দেহ সহ খুঁটিনাটি সব বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।
বরিশাল সিআইডি’র ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক আল-মামুনুল ইসলাম জানান, ওই নারীকে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ওই নারীর সাথে থাকা ব্যাগ, মাস্ক এবং ওড়নাও সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি নিয়ে গেছে এবং ওই নারী বরিশাল অঞ্চলের নয় বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী মডেল থানার সরকারি কমিশনার মো. রাসেল।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. জাকারিয়া রহমান জানান, লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ওই নারীর সাথে থাকা সন্দেহভাজন পুরুষ ব্যক্তিকে পুলিশ শনাক্ত করেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবি সংগ্রহ করে বিভিন্ন বাস টার্মিনালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ওই নারীর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের সহ অভিযুক্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. জাকারিয়া রহমান।
বাংলার প্রবাহ/এস এম হক