বছরের শেষে এসে এমনিতেই মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিল ডেঙ্গু; ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সারা দেশে ভারি বৃষ্টি হওয়ায় এ ভাইরাসের বাহক এইডিস মশার বিস্তার নতুন করে বাড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ অবস্থায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও আরও সচেতন হতে হবে।
এ বছর বুধবার পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৩ হাজার ৯২৩ জন। আর এখন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩ হাজার ৩৮০ জন। সরকারি হিসাবে এ বছর ডেঙ্গুতে ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগী এবং মৃত্যুর এই সংখ্যা বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর ২০১৯ সালে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, সে বছর মৃত্যু হয়েছিল ১৬৪ জনের।
ভর্তি রোগী এবং মৃত্যুর এই তথ্য ঢাকার ৫৪টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল এবং দেশের বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো হয়। আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে ভর্তি হননি বা হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন এমন রোগীরা এই হিসাবের বাইরে থেকে যান।
ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এইডিস মশা ডিম ছাড়ার জন্য বেছে নেয় স্বল্প গভীরতার পানি, যেমন বোতল, কাপ, টব, টায়ারের মত স্থান।
এ মশা মানুষের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে। সেজন্য ঘর, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি স্থানে এদের দেখা মেলে বেশি। আর তাদের ওড়াউড়ি জন্মস্থানের কাছাকাছিই সীমাবদ্ধ থাকে।
ছবিতে এডিস মশার জীবন চক্রের চারটি ধাপ: ওপরে ডিম এবং পানিতে ডুবে থাকা লার্ভা। নিচে- পিউপা থেকে বেরিয়ে আসছে পূর্ণাঙ্গ মশা এবং মানুষের রক্ত শুষে নিচ্ছে পূর্ণাঙ্গ মশা |