বিএনপির কর্মসূচিতে গুলিবর্ষণ ও হামলার প্রতিবাদে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এতে বলা হয়, দেশব্যাপী বিএনপির চলমান কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিবর্ষণ ও আওয়ামী লীগের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে বিএনপির উদ্যোগে জেলা, মহানগর ও উপজেলা সদরে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন : বিএনপি নেতা বুলু ও তার স্ত্রীর ওপর হামলা
রাজধানীতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা ২টায় এ প্রতিবাদ সমাবেশ হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
কর্মসূচি সফল করতে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান রিজভী।
প্রসঙ্গত, গত ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। এতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবদলের এক কর্মীর মৃত্যু হয় যেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে সরাসরি গুলি চালিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এরপর থেকেই বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিস্তর কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।
ওই কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে গুলশানে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচিতে হঠাৎ হামলা চালানো হয়। রাস্তার বিপরীত পাশ থেকে কিছু লোক ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়ালসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হন। একটি ইটের টুকরো তাবিথ আউয়ালের মাথায় লাগে। তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুলশানে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা, তাবিথ আউয়াল আহত
এছাড়া এদিন সন্ধ্যায় কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের বিপুলাসার বাজারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু ও তার স্ত্রীর ওপর হামলার অভিযোগ করেছে দলটি। ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা এ হামলা চালায় বলে দাবি করেছে বিএনপি।
বরকতউল্লা বুলুর ওপর হামলার প্রতিবাদে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ লাঠিপেটা করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। শনিবার রাত ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বড় পোল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।