সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইউরোপের দেশ বেলারুশ। আর এই বিক্ষোভ দমনে দেশটিতে পুলিশ বাহিনী পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে এখনও সে সময় আসেনি বলেন তিনি। খবর বিবিসির।
রুশ রাষ্ট্রীয় চ্যানেল ওয়ান টিভিতে এক ভাষণে পুতিন বলেন, ‘বেলারুশ প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো আমাকে একটি নির্দিষ্ট পুলিশ রিজার্ভ বাহিনী প্রস্তুত করতে বলেছেন এবং আমি সেটি করেছি।’
তবে প্রয়োজন পড়লে শুধু এ বাহিনী ব্যবহার হবে। এ ব্যাপারে বেলারুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিনি একমত বলেও রুশ প্রেসিডেন্ট জানান।
প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এবং নতুন নির্বাচনের দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে বিক্ষোভে নামে বেলারুশের জনগণ। সোভিয়েত সময়ের পর সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ সংঘটিত হয় দেশটির রাজধানী মিনস্কে।
লুকাশেঙ্কো ক্ষমতায় আছেন একনাগাড়ে ১৯৯৪ সাল থেকে। তাকে বলা হয় ‘ইউরোপের শেষ স্বৈরাচার’। তার দাবি, তিনি থাকলে বেলারুশে সরকারের স্থায়িত্ব থাকবে।
নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের ঘোষণায় ৮০ শতাংশের বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতেন লুকাশেঙ্কো। বিরোধী সমর্থকেরা এই ফল প্রত্যাখ্যান করে এবং ভোটচুরির অভিযোগে বিক্ষোভে নামে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এ বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয়।
তবে প্রধান বিরোধী দলের নেত্রী সভেতলানা তিখানোভস্কায়া সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানান। যদিও নিজে ৭ ঘণ্টা আটক অবস্থায় থাকার পর মুক্তি পেয়ে পালিয়ে লিথুয়ানিয়ায় আশ্রয় নেন তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে মিত্র বেলারুশের সুরক্ষায় এগিয়ে আসে রাশিয়া। তাছাড়া প্রতিবেশী দেশ দুটির সাংস্কৃতিক, জাতিগত ও ভাষাগত সম্পর্কের ওপর জোর দিতে বেলারুশকে সহায়তা করা অনেকটা বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলেই দাবি করেন পুতিন।