সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে পুলিশ সদস্যকে আটকের পর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে ওই পুলিশ সদস্যের মাকেও জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলজাহতে পাঠানো হয়। তারা হলেন উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের চর-কালিগঞ্জ গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে পুলিশ সদস্য মনিরুল ইসলাম (২৬) ও তার মা মনিরা বেগম। পুলিশ সদস্য মনিরুল ইসলাম রাজশাহীতে কর্মরত রয়েছে।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে পুলিশ সদ্যস্যের স্ত্রীর লাশ উদ্ধারসহ ওই দুজনকে পুলিশ আটক করে।
নিহত গৃহবধু সুরভীর বাবা শফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় দুই বছর আগে দশ লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে পুলিশ সদস্য মনিরুলের সাথে মেয়ের বিয়ে দেন। কিছুদিন আগে মনিরুল পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ায় মেয়ের সাথে মনিরুলের মনোমালিন্য চলছিল। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার থেকে মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছিল না। শুক্রবার সকালে মেয়ের মরদেহ বাড়ীর পাশেই পুকুরে ভেসে ওঠে।
তিনি জানান, মেয়েকে মনিরুল ও তার মা হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলে দিয়েছিল। পরে মরদেহ ভেসে উঠলে গ্রামবাসী পুলিশে সংবাদ দেয় এবং মনিরুল ও তার মাকে আটকে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
উল্লাপাড়া মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক কুমার দাস জানান, মরদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের পর হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা জানা যাবে। তবে সুরভীর বাবা হত্যা মামলা দায়ের করায় পুলিশ সদস্য তার মাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।