একাধিক কল্পবিজ্ঞানের গল্পে দেখা যায় উড়ন্ত গাড়ির কথা। যা দেখে আকর্ষিত হয় অল্পবয়সী কিশোর কিশোরী। কিন্তু সব ঠিক থাকলে আর কল্প বিজ্ঞান নয়, বাস্তবের মাটিতেও দেখা যাবে এই উড়ন্ত গাড়ি। সম্প্রতি জাপানে পরীক্ষামূলক ভাবে এই ফ্লাইং কারের পরীক্ষা করা হয়েছে। আর এরপর থেকেই আশা করা হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে আর বেশি দেরি নেই এই গাড়ি চোখে দেখতে।
যদিও বিশ্বের একাধিক দেশের বেশ কিছু সংস্থা এই ধরনের গাড়ির প্রটোটাইপ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু জাপানে সফল ভাবে করা হয়েছে এই পরীক্ষা। আর এই পরীক্ষার ফলে আগামী দিনের প্রযুক্তি সম্পর্কে আঁচ পাওয়া গেল। এই প্রকল্পে জাপানের ‘স্কাইড্রাইভ’ সংস্থার সঙ্গে অন্য বেশ কিছু সংস্থা অংশ নিয়েছিল বলেও জানা গেছে। যদিও তিন বছর আগে তাদের এই চেষ্টা সফল না হওয়াতে আরও মনোযোগ দিয়ে এই কাজে ব্যস্ত হয়েছিল। অবশেষে তাদের এই সাফল্য গোটা বিশ্বের সামনে খুলে দিল আগামীর পরিবহনের এক নয়া নকশা।
জানা গেছে, এই পরীক্ষার জন্য জাপানের ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের তরফ থেকেও আর্থিক অনুদান পাওয়া গিয়েছিল। আর মনে করা হচ্ছে তার ফলে কিছুটা হলেও সহজ হয়েছিল এই পরীক্ষা। কিছুদিন আগেই সংস্থার তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে দেখা গেছে, মোটরবাইকের মত দেখতে হলেও এটি মাটির কয়েক ফুট উচুতে উড়ছে। আর চালকের আসনে ছিলেন এক ব্যাক্তি। আর তার পরেই শুরু হয়েছে আকর্ষণ।
বিশ্বে এই মুহূর্তে বেশ কয়েকবার এই ফ্লাইং কারের একাধিক প্রকল্পের চেষ্টা করা হলেও সাফল্য এসেছিল খুব কম। আর এই সাফল্যর পরে এই তালিকাতে উঠে এল জাপানের ‘স্কাইড্রাইভ’। ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যাতে এটি পন্য হিসেবে বাজারে আনা যায় তার চেষ্টা চলছে। ২০২৩ সালের মধ্যে যাতে এটি পন্য হিসেবে আনা যায় তার জন্য পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এখন দেখার বিষয় কত তাড়াতাড়ি বাস্তবে আসে এই ফ্লাইং কার।