বাংলার প্রবাহ রিপোর্ট: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে আবারও দৃঢ় হচ্ছে মাদকের সম্পৃক্ততা। রিয়ার সঙ্গে দেখা হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই অবস্থার অবনতি হয়েছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের। সিবিআই তদন্তে উঠে আসছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা গেছে, রিয়া চক্রবর্তীসহ তার গোটা পরিবারই মাদকাসক্ত ছিল। অন্যদিকে আরও জানা যাচ্ছে, সুশান্তকে মাদকের নেশা ধরিয়েছিলেন রিয়াই। এমনকি, সুশান্তের জন্য ভাই সৌভিককে দিয়ে বাড়িতে যথেষ্ট পরিমাণ মাদকদ্রব্যও মজুত রাখা হত।
উল্লেখ্য, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে ড্রাগ অ্যাঙ্গলের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করেছে ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এদের মধ্যে একজনের সঙ্গে রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিকের যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে জেরার জন্য রিয়ার ভাই সৌভিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে ইডির দফতরে। সিএফএসল এবং এইমসের দুজন সদস্যও উপস্থিত থাকবেন দফতরে।
সূত্র মারফত খবর, মাদক যোগের কথা জেনে যাওয়া সুশান্তকে সাবধান করেন তার বড় বোন। এমনকি, রিয়ার থেকে দূরত্ব বজায় রাখারও পরামর্শ দেন সুশান্তকে। রিয়া এবং সুশান্তের বড় বোনের মধ্যে বাড়তে থাকে তিক্ততা। এরপরই রিয়া জানিয়ে দেয়, পরিবার এবং তার মধ্যে যেকোনও একজনকেই বেছে নিতে হবে সুশান্তকে। পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে সুশান্তের। একাধিকবার বোঝানো হলেও সে সময় কোনও কথা কানে নেননি সুশান্ত, অন্তত এমনটাই উঠে আসছে তদন্তে।
এদিকে, সুশান্তের মৃত্যুর ঠিক পাঁচ দিন আগেই আত্মহত্যা করেন সুশান্তের আর এক সাবেকন ম্যানেজার দিশা সালিয়ান। এই খবরে কার্যত ভেঙে পড়েন অভিনেতা। সূত্রের খবর, এর মাঝেই রিয়ার সঙ্গেও ঝামেলা হয় সুশান্তের। একসঙ্গে থাকলেও এরপর বাড়ি ছেড়ে চলে যায় রিয়া। অনুমান তারপরই অতিরিক্ত মাত্রায় মাদক সেবন করতে শুরু করে সুশান্ত। সিবিআই’র তদন্তে একথা স্পষ্ট যে, সুশান্তের সঙ্গেই থাকতেন রিয়া। তার চলে যাওয়ায় কার্যত ভেঙে পড়েন সুশান্ত।
প্রসঙ্গত, সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে রিয়ার দিল্লির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা ট্রান্সফারের প্রমাণ পায়নি সিবিআই। পাশাপাশি খুনেরও কোনও প্রমাণ মেলেনি। মাদকের প্রতি আসক্তি, পারিবারিক সমস্য়া এবং রিয়ার চলে যাওয়া সব মিলিয়েই গভীর অবসাদে চলে গিয়েছিল সুশান্ত। একাধিক সমস্যায় জর্জরিত হয়েই সে আত্মহত্যার বেছে নেন বলে অনুমান সিবিআই’র।
বাংলার প্রবাহ/এস এম হক