ময়মনসিংহের ফুলপুরে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে গিয়ে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় মাহমুদা আক্তার (২৬) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার বিকাল ৪টার দিকে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাহমুদা আক্তার উপজেলার বড় শুনই গ্রামের উমেদ আলী ফকিরের ছেলে গার্মেন্টকর্মী রমজান আলীর স্ত্রী। লামিয়া (৭) নামে তার একটি মেয়ে রয়েছে।
জানা যায়, মাহমুদা আল্ট্রাসনোগ্রাম করাতে উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। পরে খোকন নামে হাসপাতালের এক কর্মকর্তা আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট আসার আগেই তাকে দ্রুত সিজার করতে বলেন। না করালে রোগী মারা যেতে পারে বলে জানান তিনি।
এরপর রোগীর লোকেরা বাড়িতে খবর দিলে লোকজন আসার আগেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ডাক্তার দিয়ে সিজার করে ফেলে। ডাক্তার আতিকুল ইসলাম সিজার করেন এবং ডা. মিলন তাকে অজ্ঞান করেন। পরে মাহমুদার একটি ছেলে সন্তান হয়। বর্তমানে ছেলেটি তার চাচির হাসিনার তত্ত্বাবধানে রয়েছে। কিন্তু সিজার করার পর রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে তাকে ময়মনসিংহ পাঠিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ সময় রোগীর সাথে তাদের একজন নারী কর্মচারী দেওয়া হয়।
পরে তারা রোগীকে নিয়ে প্রথমে ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি মেডিকেল হলে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে রোগীর অবস্থা অবনতি দেখে তারা তাকে রাখেনি। এরপর রোগীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহমুদাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ওই বেসরকারি হাসপাতালে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে হাসপাতালের বাবু নামে একজনকে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দেন।