বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মদিনে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু হলো। সোমবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে ৫৩ কর্মীর মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রার মধ্য দিয়ে পুনরায় এই দ্বিতীয় বৃহৎ শ্রমবাজার চালু হলো। এদিন রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মীদের বিদায় জানান জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহীদুল আলম।
তিনি জানান, বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়া শ্রম বাজার বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ও কাঙ্ক্ষিত শ্রমবাজার। মালয়েশিয়ার নির্মাণ, সেবা, কৃষি, পর্যটনসহ বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশি কর্মীরা দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছেন। ২০১৩ সালে জিটুজি পদ্ধতিতে এবং পরবর্তীতে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে প্রায় আড়াই লাখেরও বেশি কর্মী মালয়েশিয়া যান। ২০১৯ সাল থেকে মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী প্রেরণ বন্ধ থাকার পর সরকারের উদ্যোগে এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে।
বিএমইটি সূত্রে জানা যায়, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী কর্মী প্রেরণের বিষয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স সিমপ্লেক্স ইন্টারন্যাশনালের নামে মন্ত্রণালয় ৩২৫ জন কর্মীর নিয়োগ অনুমতি দেয়। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় হতে এখন পর্যন্ত ১৯টি রিক্রুটিং এজেন্সির অনুকূলে ৩ হাজার ২২ জন কর্মী নিয়োগের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
নিয়োগ অনুমতি প্রাপ্ত রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল মালয়েশিয়াস্থ জিমত জয়া কোম্পানিতে নিয়োগ অনুমতি প্রাপ্ত ১১০ জন কর্মীর মধ্যে ৫৩ জন কর্মীর বহির্গমন ছাড়পত্রের জন্য গতকাল আবেদন করলে সেদিনই ৫৩ জন কর্মীর অনুকূলে বিএমইটি বহির্গমন ছাড়পত্র/স্মার্টকার্ড ইস্যু করা হয়।
শহীদুল আলম আরও জানান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে বিএমইটি’র ছাড়পত্র নিয়ে ৫৩ জন কর্মীর প্রথম দলটি আজ রাতে ফ্লাইটযোগে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করছে। এই ধারাবাহিকতায় আসন্ন দিনগুলোতে আরও কর্মী মালয়েশিয়ায় যাবে। তাতে রেমিট্যান্সও গতি বাড়বে।
মালয়েশিয়ায় কর্মীদের বিদায় জানানোর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য প্রশাসন ও অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান, জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রার প্রাক্তন সভাপতি বেনজির আহমেদ, মন্ত্রণালয় ও বিএমইটি’র কর্মকর্তাসহ রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।