জ্বালানি তেলের উত্তাপ বাজারে ।
মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষের ‘টিকে থাকাই’ দায় নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নির্ধারিত আয়ের মানুষের মধ্যে অসন্তোষ ।
করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সৃষ্ট সংকটে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের জীবনযাত্রায় একরকম হাঁসফাঁস অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রয়োজনীয় সব পণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বগতি। এ সময় বেড়েছে গ্যাস, বিদ্যুতের দামও।
সেখান থেকে পরিত্রাণের আগেই নতুন করে যোগ হয়েছে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির উত্তাপ, যা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। এর প্রভাবে আরেক দফা বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম।
আর গণপরিবহণের ভাড়া বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের ভোগান্তির মাত্রাও আরও চরমে উঠেছে। পাশাপাশি নতুন করে সকাল ও বিকালের নাশতা তৈরির উপকরণের দাম আরেক দফা বাড়ানোর প্রস্তুতি চলছে। ফলে আয় না বাড়লেও সব শ্রেণির মানুষের ব্যয় হু হু করে বাড়ছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের পরিবার।
এদিকে গত বছর থেকে ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি মানুষকে অস্থির করে তুলেছে। পাশাপাশি বেড়েছে চিকিৎসা ও শিক্ষা ব্যয়। বেড়েছে বাড়ি ভাড়াও। ফলে জীবনযাপনে সব খাতেই নিজ থেকেই একরকম ‘রেশনিং’ করতে বাধ্য হচ্ছে প্রায় সব শ্রেণির মানুষ।
চাহিদা থাকলেও ব্যয় কমাতে পণ্য ও সেবা কেনার ক্ষেত্রে বাজেট কাটছাঁট করছেন অনেকেই। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অধিকাংশ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবার সঞ্চয় ভেঙে দৈনন্দিন খরচ চালাচ্ছে।
জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে নিত্যপণ্যের দাম অসহনীয় হয়ে উঠছে।
একাধিক পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গণপরিবহণের ভাড়া বেড়েছে। এতে মানুষের সার্বিক ব্যয় আরেক দফা বাড়ছে। ফলে সব শ্রেণির মানুষ দুর্ভোগে পড়তে শুরু করেছে।
বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবার বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে। তাদের নাভিশ্বাস বাড়ছে। তাই এই সংকট মোকাবিলায় সরকারি সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন। সোমবার রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার, রামপুরা বাজার, মালিবাগ এবং ডেমরা, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকার বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে জানা গেছে, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে প্রতি কেজি চালের দাম ৫ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি আটা ময়দায় ৪ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৫ টাকা, চিনি ৩ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি সবজি সর্বোচ্চ ২০ টাকা বেড়েছে। আর মাছ কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ৪০ টাকা।