নারী ফুটবল নিয়ে বাফুফের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ। লক্ষ্য স্থির করে কাজ করা সম্ভব হয়েছে বলেই প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে জয় পেয়েছে সাবিনা-সানজিদারা। এমন মন্তব্য করেছেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। নারী ফুটবলারদের কঠোর পরিশ্রম এই সফলতার অন্যতম কারণ বলেও মনে করেন তিনি।
বলতে দ্বিধা নেই বাংলার ফুটবল টিকিয়ে রেখেছে নারীরাই। এটা ধ্রুব সত্য পরিশ্রম আর লক্ষ্য স্থির থাকলে সফলতা অনিবার্য। সে পথ ধরেই আসে উচ্ছ্বাসের উপলক্ষ। কিছু উদ্যাপনে আবার লেগে থাকে ইতিহাসের গন্ধ। প্রথমবারের মতো ভারতকে হারানোর বিষয়টা যে এমনই।
এই দলটার বিপক্ষে জয় পেতে লেগে গেছে এক যুগ। দেশের নারী ফুটবলের সূচনালগ্ন থেকে এই লড়াই। এরপর বয়সভিত্তিক দলের সফলতায় আলোর দিশা। ঠিক যেন মর্নিং শো’জ দ্য ডে। বাফুফে বুঝতে পেরেছিল বলেই তাদের নিয়ে লম্বা যাত্রা। যার পরিক্রমায় ভারত বধের বিরত্বগাথা।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী ভারতকে উড়িয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল গোলাম রব্বানী ছোটন কোচ বলেন, ‘এশিয়ার সব সেরা সেরা দলের বিপক্ষে খেলার লক্ষ্য স্থির করে আমরা লম্বা সময় অনুশীলন করে করেছি। বিশেষ করে বাফুফের এলিট একাডেমিতে বছরব্যাপী অনুশীলন করে আজকের এ সফলতা।
বিগত সময়ের লড়াইয়ে ২০১৬ সাফে একটা ড্র ছিল বাংলাদেশের। এরপর আবারও পিছিয়ে পড়া। তবে ভেতরে ভেতরে দলটা যে পরিণত হয়েছে তা বোঝা গিয়েছিল শক্তিশালী মালেয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে। প্রাত্যহিক কঠোর অনুশীলন, নিয়ম করে দৈনন্দিন অনুশাসন মেনে চলাই যে সফলতার নেপথ্যে।
আরও পড়ুন: ১৬ দিনের অনুশীলনে ওজন কমল ফুটবলারদের
গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ‘বয়সভিত্তিক দল থেকে নিয়মিত অনুশীলন ও কঠোর পরিশ্রমের ধারাবাহিকতায় আজকের এ সফলতা। যার শুরুটা হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৫, ১৭ ও ১৯ এর এএফসি ও সাফের প্রতিযোগিতায়।’
এই দল বহুদূর যাবে এটা নিশ্চিত। সেমিফাইনালে ভুটান বাধা পার হবে তাও বলে দেয়া যায়। তাই প্রথম সাফ শিরোপা নিয়ে স্বপ্নবাজ হতে দোষ কী!