রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ওজোন স্তর রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বাস্তবায়নে সবাইকে অধিকতর দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
১৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) ‘বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২২’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২২’ পালনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান। ওজোন স্তর রক্ষায় ১৯৮৭ সালে মন্ট্রিল প্রটোকল স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ১৯৯৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস পালিত হচ্ছে। মন্ট্রিল প্রটোকলের ৩৫ বছরের সাফল্যের স্বীকৃতি এ বছরের বিশ্ব ওজোন দিবসের নির্ধারিত প্রতিপাদ্য ‘পঁয়ত্রিশে মন্ট্রিল প্রটোকল- জীবন রক্ষায় অঙ্গীকার অবিচল’ যথার্থ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন : ওজোনস্তরে বিরাট ফাটল, ভয়ংকর বিপদে মানবসভ্যতা!
রাষ্ট্রপতি বলেন, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে পৃথিবীকে নিরাপদ রাখতে বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণে ওজোন স্তর আজ হুমকির সম্মুখীন। প্রাণিজগতের অস্তিত্ব রক্ষায় অতি গুরুত্বপূর্ণ এই ওজোন স্তর ধ্বংসের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শিল্পে বিশেষ করে শীতলীকরণ শিল্পে ব্যবহৃত ক্লোরোফ্লোরো কার্বন বা সিএফসি গ্যাস বড়ো ভূমিকা রাখে। ওজোন স্তর রক্ষায় ১৯৮৭ সালে জাতিসংঘ গৃহীত মন্ট্রিল প্রটোকল এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বিগত ৩৫ বছরে মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ওজোন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ওজোন স্তর রক্ষার পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণায়নজনিত জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও মন্ট্রিল প্রটোকল উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ও হিমায়নযন্ত্র উন্নত ও পরিবেশবান্ধব উপকরণ ও প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। ওজোন স্তরের সুরক্ষায় সিএফসি গ্যাস নির্ভর শীতলীকরণ যন্ত্রের ব্যবহার কমাতে জনগণকে সচেতন করা খুবই জরুরি।
আরও পড়ুন : ওজোন স্তরে তৈরি হয়েছে অ্যান্টার্কটিকার চেয়েও বড় গর্ত!
তিনি আশা প্রকাশ করেন, পৃথিবীর সকল জীবনের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা এবং সর্বোপরি মানব স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ওজোন স্তরের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে ‘বিশ্ব ওজোন দিবস’ উদযাপন কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
আবদুল হামিদ বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।