প্রতারণার ধরন পাল্টাচ্ছে ফরিদপুরের ‘ভাঙ্গা পার্টি’। এখন তাদের টার্গেট ভিসা বা মাস্টারকার্ড। ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয়ে কৌশলে কার্ডহোল্ডারের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে তথ্য। হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা। ফরিদপুর থেকে চারজনকে গ্রেফতারের পর পুলিশ বলছে, মা-ছেলে মিলে নেতৃত্ব দেয় চক্রটির।
প্রতিদিন ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পারুলী বেগমের হাতে তুলে দেন ছেলে নাজমুল হোসেন। নাজমুল বড় কোনো ব্যবসায়ী কিংবা চাকরি করেন না। তবুও তাদের টাকার অভাব নেই। টাকার উৎস নিয়ে মায়ের কোনো প্রশ্নও নেই। কারণ মা-ছেলে মিলেই তৈরি করেছেন অবৈধ আয়ের এ পথ।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে মা-ছেলে ছাড়াও আরও দুজনকে গ্রেফতারের পর অবৈধ এ আয়ের তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন: মো. সোহেল মীর, মো. নাজমুল হোসেন, পারুল ও মো. তারা মিয়া।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণার মাধ্যমে হাতেখড়ি হলেও এখন অনেকটাই ধরন পরিবর্তন করেছে তারা। ভিসা বা মাস্টারকার্ড এখন তাদের মূল টার্গেট। কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজার পরিচয় না দিয়ে তারা এখন নিজেদের পরিচয় দেয় ব্যাংক ম্যানেজার হিসেবে।
প্রতারকরা কৌশলে কার্ডের নম্বর, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, সিকিউরিটি পিন সংগ্রহ করে। গ্রাহকের মোবাইল নম্বরে পাঠানো হয় ওটিপি বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড। পরে ওটিপি সংগ্রহ করে নিয়ন্ত্রণ নেয়া হয় কার্ডের। হাতিয়ে নেয়া হয় অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ৫২০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার মাদক কারবারি
পুলিশ বলছে, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতারণার ধরন পাল্টাচ্ছে তারা। প্রতারণায় জড়িয়ে পড়ছে একই পরিবারের একাধিক সদস্য।
ডিবির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, ভিসা ও মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটার বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ ও ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়। এসব কার্ড দিয়ে বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করা হয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কার্ড ব্যবহারকারীদের তথ্য নেন ওই চক্রের সদস্যরা।
গ্রাহকদের প্রতারণার হাত থেকে বাঁচাতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ পুলিশের। ব্যাংকএটিএম কার্ডপ্রতারণাপ্রতারকব্যাংক কর্মকর্তাব্যাংক ডাকাতিমা-ছেলে