সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে রুবেল হোসেন দূরে ছিলেন অনেকদিন যাবতই। সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০২০ সালে। গত বছর জাতীয় ক্রিকেট লিগ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগও খেলেননি। এবার টেস্ট থেকে বিদায়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাই দিয়ে দিলেন অভিজ্ঞ পেসার।
তরুণদের সুযোগ করে দেওয়া এবং ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে মনোযোগ বাড়ানোর কথা বলে সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় বলে দিলেন রুবেল হোসেন। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী পেসার। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও (বিসিবি) চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
রুবেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় দলের পাইপলাইন শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে লংগার ভার্সন টুর্নামেন্টগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমি মনে করি, এ টুর্নামেন্টগুলোয় তরুণ পেসাররা যত বেশি সুযোগ পাবে, আমাদের পাইপলাইন তত মজবুত হবে। তাই তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমি লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
টেস্ট ছাড়লেও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে তার এখনও অনেক কিছু আছে বলেছেন রুবেল। অভিজ্ঞ পেসার বলেন, ‘বাংলাদেশের হয়ে ২৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলার সৌভাগ্য হয়েছে আমার, যা আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম অর্জন। লাল বলের ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটের এ পথচলায় আমাকে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আশা করছি, সামনের দিনগুলোয় আপনাদের পাশে পাব। টেস্ট থেকে বিদায় নিয়েছি। তবে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশ জাতীয় দলকে আরও কিছু দেওয়ার মতো সামর্থ্য আছে আমার। তাই ডিপিএল, বিপিএলসহ অন্যান্য সাদা বলের টুর্নামেন্টে আমি নিয়মিত খেলা চালিয়ে যাব। আমার জন্য দোয়া করবেন। সাদা বলের বাকি জীবনে আপনাদের যেন রঙিন স্বপ্ন উপহার দিতে পারি।’
১২ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে রুবেল অবশ্য খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। বাংলাদেশের হয়ে ২৭টি টেস্ট খেলে উইকেট নিয়েছেন ৩৬টি। বোলিং গড় ৭৬.৭৭। ১০টির বেশি টেস্ট খেলেছেন এমন বোলারদের মধ্যে রুবেলের গড়ই সবচেয়ে বাজে। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টনে ১৬৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন, সেটাই ছিল রুবেলের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।