রাশিয়ায় বন্দি থাকা ১০ জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে বন্দিবিনিময়ের অংশ হিসেবে তাদের মুক্তি দেয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরবের কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক টুইটবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, বন্দিদের মুক্তির মধ্যস্থতায় কাজ করেছেন দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
বন্দিদের মধ্যে ব্রিটিশ ও মার্কিন নাগরিক রয়েছেন। তাদের সৌদি আরবে নেয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, যে ১০ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে দুজন যুক্তরাষ্ট্র, পাঁচজন যুক্তরাজ্য এবং ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো ও সুইডেনের একজন করে নাগরিক রয়েছেন।
সৌদি আরবের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়া থেকে তাদের সৌদি আরবে আনার পর নিজ নিজ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
তবে নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, পাঁচ ব্রিটিশ ও দুই মার্কিন নাগরিক ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিতে সেখানে গিয়েছিলেন। এদিকে বন্দিদের মুক্তির পর স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস।
এমন সময়ে এই বন্দিদের মুক্তি দেয়া হলো যখন পশ্চিমাদের হাত থেকে মাতৃভূমি রক্ষায় সেনাসদস্য বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এক ডিক্রিতে সই করে বুধবার টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই প্রথম রাশিয়া এ ধরনের সেনা বাড়াতে যাচ্ছে। ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে গণভোট আয়োজনের তোড়জোড় শুরুর মধ্যেই আকস্মিক সিদ্ধান্ত নিলেন পুতিন। রাশিয়াকে যারা ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।