আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিএনপি দেশকে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য তৈরি করতে চায়। ইতোমধ্যে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। তারা সমাবেশের নামে সারাদেশ থেকে সন্ত্রাসী বাহিনীদের ঢাকায় এনে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। এরা হাজারীবাগে সমাবেশের নামে জাতীয় পতাকায় লাঠি বেঁধে নিরপরাধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এরা চায় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে। আমরা এদের আর কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে দেব না। এরা দেশকে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য তৈরি করতে চায়।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের পাশে ১০ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি নেতারা কিছুদিন ধরে তাদের সমাবেশে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো চায় না বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসুক কারণ তারা জানে বিএনপি ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নাকি মারা যাবে। মির্জা ফখরুল সাহেব আপনি কি বলতে চাচ্ছেন আপনারা ক্ষমতায় গেলে আমাদের হত্যা করা হবে? মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে হত্যা করে রক্তের গঙ্গা বইয়ে দেবেন। আমি বলতে চাই, আমাদের হত্যা করা যায় কিন্তু আমাদের আদর্শ থেকে সরানো যায় না। আপনারা আমাদের পথে বাধা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া রুখতে পারবেন না। বীরের রক্ত আমাদের শরীরে। আমাদের হত্যার ভয় দেখিয়ে থামানো যাবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আর দেশে এদের খুন, ষড়যন্ত্র, অগ্নিসন্ত্রাস ও হত্যার রাজনীতি করতে দেব না। এরা যদি দেশের জনগণ ও দেশের কোনো সম্পদে আঘাত করে তাহলে তাদের প্রতিঘাত করা হবে। এরা এখন স্লোগান দেয় পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। তাই এদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিটা নেতাকর্মীকে সজাগ থাকতে হবে।
নাছিম বলেন, টুঙ্গিপাড়ায় এক অজপাড়াগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার কোল আলো করে জন্মগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানেই তিনি মাটি ও মানুষের সঙ্গে নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে বেড়ে উঠেছিলেন এবং পরে বঙ্গমাতার সঙ্গে পারিবারিকভাবে ঢাকায় আসেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা অত্যন্ত সাদামাটা পরিবেশেই সুখ আনন্দ বেদনার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেন। ত্যাগের মহিমা ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে তিনি বড় হয়েছেন। আমরা ভাগ্যবান এমন একজন মানুষের জন্ম হয়েছে এ দেশে। তিনি তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়টাই দেশের মানুষের জন্য বিলিয়ে দিচ্ছেন।