কোচিংয়ের শিক্ষক থেকে এখন দেশের অন্যতম সেরা অভিনেতা মোশাররফ করিম। বন্ধুর সঙ্গে একটা কোচিং সেন্টার পরিচালনা করতেন। সেখানে পড়াতেনও। দশম শ্রেণির প্রি-টেস্ট পরীক্ষার আগে অথবা পরে সেই কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলেন রোবেনা জুঁই। মোশাররফ করিমের কাছে জুঁই পড়তেন বাংলা সাহিত্য এবং ইংরেজি গ্রামার।
সেই কোচিং থেকেই প্রথমে বন্ধুত্ব, অতঃপর প্রেম-পরিণয়। এরপর একসঙ্গে পাড় হয়ে গেলো দীর্ঘ ১৮টি বছর। মোশাররফ করিম ও রোবেনা জুঁইয়ের কাছে আসার গল্পটা এমনই।
চার বছর প্রেমের পর ২০০৪ সালের সাত অক্টোবর জুঁইকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন মোশাররফ। গতকাল শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দেড় যুগ স্পর্শ করলো এই দম্পতির বৈবাহিক জীবন।
এসএসসি শেষে জুঁই এইচএসসির সময়ও মোশাররফ করিমের সেই কোচিং সেন্টারেই ভর্তি হন। এইচএসসি শেষে জুঁইও সেখানে পড়াতে শুরু করেন। শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়ার এক বছর পর থেকে ভাবের আদান-প্রদান শুরু হলেও বিয়েটা সহজ ছিল না বলে জানায় জুঁই।
রোবেনা জুঁই বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়াতে কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। ওর (মোশাররফ) পরিবার থেকে তেমন সমস্যা ছিলো না। কারণ মোশাররফ এমনিতেই উদাসীন মানুষ। সে সংসার করবে এটা তার পরিবার ভাবতেই পারেনি!’
তিনি বলেন, যখন সেই ছেলে মেয়ে পছন্দ করেছে তখন পরিবার থেকে আর বাধা আসেনি। ওদিকে আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি। আমার পরিবারের সুপ্ত ইচ্ছা ছিল- পড়াশোনা শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে পাঠাবে। কিন্তু তৃতীয় বর্ষে পড়াকালীন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলাম। আমার এই সিদ্ধান্ত পরিবারকে খুব হতাশ করেছিল। এছাড়া কালচারাল কিছু গ্যাপ ছিল। আমার বাড়ি জামালপুর। মোশাররফ করিমের বাড়ি বরিশাল। সবকিছু মিলিয়ে প্রতিবন্ধকতা ছিলো।
এদিকে, শুভ দিনটিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অভিনেত্রী জুঁই দুটো ছবি দিয়েছেন। ক্যাপশনে লেখেন, এমন করেই যায় যদি দিন যাক না, শুভ বিবাহবার্ষিকী মোশাররফ করিম। দেড় যুগ পূর্তির জন্য অভিনন্দন।