করোনা মহামারির প্রকোপ কমায় আবারও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিশ্বের পর্যটন খাত। বর্তমানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে আসায় অন্যান্য খাতের মতো চাঙা হচ্ছে বিশ্বের পর্যটন খাতও। জাতিসংঘের পর্যটনবিষয়ক সংস্থা জানায়, বিশ্বব্যাপী পর্যটন সংখ্যা বেড়েছে ৬০ শতাংশ। তবে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এই খাতের টেকসই উন্নয়নে আরও বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন বলে মত বিশ্লেষকদের।
জাতিসংঘের পর্যটনবিষয়ক সংস্থার তথ্যমতে, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২২ সালের প্রথমদিকে প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়েছিল। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসে প্রায় ৪৭ কোটি ৪০ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেন। যেখানে ২০২১ সালের একই মাসে ১৭ কোটি ৫০ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেছিলেন।
ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে বেশি। যুক্তরাষ্ট্র ও আফ্রিকাতেও গত বছরের তুলনায় পর্যটকের সংখ্যা ৬০ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ শতাংশে। পর্যটন খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮৬টির মতো দেশে করোনা বিধিনিষেধ ছিল না।
জাতিসংঘের পর্যটনবিষয়ক সংস্থা আরও জানায়, এখন সময় এসেছে পর্যটন নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার। অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই খাতের টেকসই উন্নয়নে আরও বেশি মনোযোগী হওয়া দরকার বলছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে প্রায় তিন দশক পর চলতি বছর প্রায় এক কোটি ৬২ লাখ পর্যটক ভারতের জম্মু-কাশ্মির ভ্রমণ করেছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। স্বাধীনতার পর এটিই সর্বোচ্চসংখ্যক পর্যটক বলে জানান তারা।
তবে ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে এখনও পর্যটন খাতের সমৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বাকি বিশ্বের ওপর বড় প্রভাব ফেলেছে। বিশ্বব্যাপী বেড়েছে সুদের হার, জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম। এমনকি বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ২০২৩ সাল নাগাদ বিশ্ব পর্যটন খাতকে আগের অবস্থায় ফেরাতে পড়তে হবে চ্যালেঞ্জের মুখে।