বন্যার পানিতে ভাসছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ভারতের উত্তরাঞ্চলে নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত কয়েকশো গ্রাম। এতে চরম দুর্ভোগে বাসিন্দারা। তাদের উদ্ধারে তৎপর উদ্ধারকর্মীরা।
নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরো অন্তত ১২ জন। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিনপূর্বাঞ্চলে ভারি বৃষ্টির কারণে বন্যা সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বন্যা পরিস্থিতির চরমে ভারতের উত্তর প্রদেশের শ্রাবস্তি জেলায়। গেল বেশ কয়েকদিনের অব্যাহত ভারি বর্ষণের কারণে আবারো নদীর পানি বেড়ে গিয়ে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে লোকালয়। এতে চরম দুর্ভোগে পরেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তাঘাট ভেঙে পড়ায় ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফসলি জমির।
স্থানীয়রা বলেন, বন্যার পানি আমাদের ঘরের ভেতর ঢুকে পড়েছে। খাবার ও পানির কারণে আমরা প্রচণ্ড কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। মানুষজন না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। আমাদের সব শস্য পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে বন্যা কবলিত এলাকায় আটকা পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারের পাশাপাশি তাদের ত্রাণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে নেপালের পশ্চিমাঞ্চলেও। পরিস্থিতির সবচেয়ে বেশি অবনতি হয়েছে বারদিয়া জেলায়। প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। একই পরিস্থিতি পশ্চিমাঞ্চলীয় অন্যান্য জেলাতেও। একইসঙ্গে, বৃষ্টিজনিত দুর্ঘটনা ও ভূমিধসের কারণে ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।
পাশাপাশি ঘরবাড়ির ভেতরে পানি ঢুকে পড়ায় ছাদে আশ্রয় নিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট ডুবে থাকায় অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন বাড়ির ছাদে। এতে, মানবেতর জীবনযাপন করছেন বন্যা কবলিত কয়েক হাজার বাসিন্দা। তারা বলেন, আমার কাছে কোন খাবার নেই। থাকার মতো কোন জায়গাও নেই। আমি আমার স্ত্রী সন্তান কারও কোনো খোঁজ পাচ্ছি না।
এদিকে, অব্যাহত বৃষ্টিপাতে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়ায় অঙ্গরাজ্যের কয়েকটি শহরেও দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে, বন্যা সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি স্থানীয়দের নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার বাসিন্দা।
মৌসুমী ঝড় জুলিয়ার আঘাতে মেক্সিকোর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।