গোটা বিশ্বে একমাত্র চীনকেই প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করছে আমেরিকা। একইসঙ্গে তাদের কাছে রাশিয়াও ‘বিপজ্জনক’।
স্থানীয় জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাউডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এই কথা বলেন।জাতীয় নিরাপত্তা নীতি প্রকাশ করতে গিয়ে জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষণে তিনি বলেন, চলতি দশকের প্রথম দিকটা সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময়। সেই নিরিখেই আমরা চীনকে শীর্ষ প্রতিযোগীর তালিকায় রাখছি। তাদের সঙ্গে অর্থনীতি, রাজনীতি, নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে আমেরিকার টক্কর চলবে। এই লড়াইয়ে তাদের টেক্কা দেওয়াই আমেরিকার কাছে অগ্রাধিকারের বিষয়।”
অন্যদিকে, রাশিয়া সম্পর্কে বাইডেনের উপদেষ্টার মন্তব্য, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে তারা যে নয়া নীতি নিয়েছে, তা আন্তর্জাতিক স্তরে চরম মন্দা ডেকে আনবে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর পররাষ্ট্র নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। চীন ও রাশিয়া সম্পর্কে বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪৮ পাতার নতুন রিপোর্ট তৈরি করেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই দু’টি দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়লেও তাদের সঙ্গে আমেরিকার লড়াইটা ভিন্ন ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে চীনই আমেরিকার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী, যাদের সঙ্গে অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক, সামরিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমানভাবে লড়াই চলবে। পাশাপাশি রাশিয়াকে বিপজ্জনক আখ্যা দিয়েই তাদের মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
ট্রাম্পের শাসনামলে চীন ও রাশিয়াকে সমানভাবে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছিল মার্কিন প্রশাসন। বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর অবশ্য তারা বুঝিয়ে দিয়েছে, সংশ্লিষ্ট দু’টি দেশকে তারা দু’রকম দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে। পাশাপাশি বাইডেন প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের পরমাণু শক্তির ভাণ্ডারের আরও আধুনিকীকরণ ঘটিয়ে বিশ্বের সেরা শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা।