নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আইওয়াশের সুযোগ নেই উল্লেখ করে কমিশনার মোহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনেও (ইভিএম) ভোট ডাকাতি সম্ভব, তবে ভোটার উপস্থিতি থাকতে হবে।
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন প্রসঙ্গে ইসি আলমগীর বলেন, প্রাথমিকভাবে ৫০টি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ হয়ে গেলে সঠিক মূল্যায়নের বিবেচনায় ভোট কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। তবে ভোট গ্রহণের সময় কেন্দ্রে অনিয়ম দেখলে প্রিজাইডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কমিশনার কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে পারেন। কিন্তু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে এমন চিঠি দেয়ার এখতিয়ার প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের নেই।
গাইবান্ধার উপনির্বাচন বন্ধ করে দেয়া আইওয়াশ—এমন আলোচনার সত্যতা আছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশনের ‘আইওয়াশ’ করা না করার কোনো সুযোগ নেই। ইসি কারও পক্ষে বা বিপক্ষে নয়। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা ইসির দায়িত্ব। নির্বাচন যতক্ষণ না সুষ্ঠু হবে, ততক্ষণ নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচন করা হবে।
তিনি বলেন, তারা নির্বাচন ভবন থেকে সিসিটিভির মাধ্যমে গাইবান্ধা–৫ আসনের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছিলেন। সেখানে দেখা গেছে, অনেক কেন্দ্রে ভোটের গোপন কক্ষে ভোটার আঙুলের ছাপ দেয়ার পর পোলিং এজেন্টরা ভোটের বাটন চেপে দিচ্ছেন। এটি দেখে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হলেও সে অনুযায়ী কাজ করেননি। অপরাধীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করার নির্দেশও মানা হয়নি। প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছেন, এমনটিও কমিশন দেখেনি। তাই আইন অনুযায়ী যা করা উচিত ইসি সেটা করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়া গাইবান্ধা–৫ আসনের উপনির্বাচনে যেসব কর্মকর্তা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কর্মকর্তার সংখ্যা যতই হোক, অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’