হামলা ঠেকাতে এবার বন্দুক বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কানাডা। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্ট্রিন ট্রুডো। বন্দুক সহিংসতা রুখতে এমন পদক্ষেপ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
একের পর এক বন্দুক হামলায় বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রে সাংবিধানিক কারণে যখন অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোর করতে বেগ পেতে হচ্ছে বাইডেন প্রশাসনকে, ঠিক তখনই সহিংসতা রুখতে ঐতিহাসিক এক পদক্ষেপ নিল কানাডা সরকার। শুক্রবার এক বিবৃতিতে সব ধরনের হ্যান্ডগান বা বন্দুক বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কানাডার সাম্প্রতিক বন্দুক হামলায় নিহতদের পরিবারের স্বজনরা।
ট্রুডো বলেন, ‘যেখানে বন্দুক হামলায় অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে, বহু মানুষ আহত হচ্ছে, দায়িত্বশীল নেতৃত্ব হিসেবে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের কর্তব্য। সম্প্রতি বন্দুক হামলার ঘটনাগুলোতে আমরা সবচেয়ে বেশি হ্যান্ডগানের ব্যবহার দেখেছি। আর এ জন্যই আমরা এগুলোর বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। আমি মনে করি, সাম্প্রতিক সময়ে এটি সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ।’
গেল মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ভয়াবহ বন্দুক হামলায় বেশ কয়েকজনের হতাহতের পরপরই বন্দুক বেচাকেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় কানাডা সরকার। কানাডায় যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় বন্দুক হামলার ঘটনা কম হলেও অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় অনেক বেশি।
এ ছাড়া দেশটিতে গেল ১১ বছরে বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে এই হ্যান্ডগান। আর তাই বন্দুক হামলার রাশ টেনে ধরতে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন আরও কঠোর করার উদ্যোগ নেয় কানাডা সরকার। এর মধ্য দিয়ে গেল ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বন্দুক আইন পাস করল ট্রুডো প্রশাসন।
এর আগে, ২০২০ সালে কানাডায় বন্দুক হামলায় ২৩ জনের প্রাণ যায়। ওই ঘটনার পরপরই প্রায় ১৫০০ ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র নিষিদ্ধ করেছিল দেশটির সরকার।