বিশ্বকাপে দুর্ভাগ্য যেন পিছু ছাড়ছে না দক্ষিণ আফ্রিকার। এর আগে সেমিফাইনাল কিংবা বড় ম্যাচে প্রোটিয়ারা ভাগ্যাহত হলেও এবার প্রথম ম্যাচেই এমন পরিস্থিতির শিকার। সোমবার (২৪ অক্টোবর) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিশ্চিত জেতা ম্যাচে তারা পয়েন্ট ভাগ করেছে বৃষ্টির বাগড়ায়।
ভাগ্য সব সময়ই পরিহাস করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে। এই ভাগ্যই বিশ্ব ক্রিকেটে তাদের চোকার্স বানিয়েছে। এর আগে নকআউট পর্বে প্রোটিয়ারা ভাগ্য বিড়ম্বনায় পড়লেও এবার যেন দুঃসময় পিছু নিল প্রথম ম্যাচ থেকেই।
হোবার্টে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচ ডার্ক ওয়ার্থ লুইস মেথডে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে টার্গেট দাঁড় কারিয়ে দেয় ৭ ওভারে ৬৪। ডি কক ৩ ওভারে ৫১ রান নিয়ে ম্যাচটা একেবারে হাতের তালুতে নিলেও বৃষ্টি বাধায় শেষ পর্যন্ত পণ্ড হয় খেলা। পয়েন্ট ভাগ করে দু’পক্ষ।
ক্রিকেট মাঠে প্রোটিয়াদের ভাগ্য বিড়ম্বনার শুরু ১৯৯২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ম্যাচ থেকে। সেমিফাইনালে ৪৫ ওভারে ২৫২ রান তাড়া করতে নেমে ৪২ ওভার পাঁচ বল পর্যন্ত সব ঠিক। এরপর বৃষ্টি বাধা। দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ জিততে ১৩ বলে ২২ রানের টার্গেট মোস্ট প্রোডাক্টিভ ওভারস মেথড নিয়ে দাঁড় করা ১ বলে ২১ রানে। অতঃপর ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ক্যাপলার ওয়েসেলসের দল।
১৯৯৯ বিশ্বকাপে শেষ ওভার ট্র্যাজেডি দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য এক প্রকার ক্রিকেট কলঙ্ক। ৯ রানের টার্গেটে প্রথম দুই বলেই চার হাকিয়েছিলেন ক্লুজনার। শেষ উইকেট জুটিতে শেষ রানটিই আর নিতে পারেনি প্রোটিয়ারা। ওভারের চতুর্থ বলে প্রতিপক্ষের হাতে বল রেখেই দৌড়েছিলেন ক্লুজনার। ওপ্রান্তে মানা করেও থামাতে পারেননি ডোনাল্ড। শেষ পর্যন্ত রান আউট। টাই ম্যাচে হেড টু হেড সমীকরণে ফাইনালে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।
২০০৩ বিশ্বকাপে হিসাব ভুলের মাশুল গুণে দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার করা ২৬৮ রানের টার্গেট ডিএল মেথডে এসে দাঁড়ায় ৪৫ ওভারে ২৩০। কিন্তু অধিনায়ক শন পোলক দলে বার্তা দেন ২২৯ রানের। শেষ ওভারে মুরালিধরনকে ছয় মেরে লক্ষ্য পূরণ করেন মার্ক বাউচার। শেষ বলে শুধু ব্লক করে সমাপ্তি টানেন ইনিংসের। এরপর ড্রেসিং রুমে গিয়ে সবাই বুঝতে পারেন বড্ড ভুল হয়ে গেছে হিসাবে।
২০১৫ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা হেরে গিয়েছিল এক দক্ষিণ আফ্রিকানের কাছে। সেখানেও ছিল ভাগ্য বিড়ম্বনা। প্রোটিয়াদের ২৮১ রানের ইনিংস ডিএল মেথডে নিউজিল্যান্ড টার্গেট পায় ২৯৮। তবে গ্রান্ট ইলিয়ট অতিমানবীয় ব্যাটিং করে কিউইদের নিয়ে যান ফাইনালে। ৪২তম ওভারের পঞ্চম বলে সহজ ক্যাচ ফেলে তাকে জীবন উপহার দেন বেহার্দিন-ডুমিনি। ৮৪ রানের ইনিংস খেলে তার সর্বোচ্চ ফায়দা নেন এই প্রোটিয়া কিউই ব্যাটার।