অ্যাডিলেড ওভাল নেদারল্যান্ডসকে যতটা সহজ পাবে ভেবেছিল দক্ষিণ আফ্রিকানরা, ততটা সহজ ছিল না তারা। টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর একটুও সঙ্কুচিত মনে হয়নি ডাচদের। উল্টো যেভাবে প্রোটিয়া পেসারদের বিপক্ষে ব্যাট করেছিলো তারা, তাতে মনে হচ্ছিল বুঝি প্রোটিয়াদের সমমানের কোনো দল খেলছে তাদের বিপক্ষে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে ডাচরা। ৪ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ১৫৮ রান। সেমিফাইনালে যেতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হবে ১৫৯ রান।
ব্যাটিংয়ের মত বোলিংটাও যদি আঁটোসাটো করতে পারে নেদারল্যান্ডস বোলাররা, তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকার খবর আছে বলা যায়। ব্যাট হাতে কলিন অ্যাকারম্যান ঝড় তোলেন। শেষ মুহূর্তে প্রচুর রান তোলেন তিনি এবং স্কট এডওয়ার্ডস।
শেষ ৫ ওভারে রান ওঠে ৪৬টি। ২৬ বলে ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন অ্যাকারম্যান। ৭ বলে ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন স্কট এডওয়ার্ডস।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য দারুণ সূচনা করে নেদারল্যান্ডস। দুই ওপেনার ম্যাক্স ও’দাউদ এবং স্টিফেন মাইবুর্গ মিলে ৫৮ রানের জুটি গড়ে তোলেন। ৯ম ওভারে গিয়ে এইডেন মারক্রামের বলে রাইলি রুশোর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে মাইবুর্গ ৩০ বলে করেন ৩৭ রান। ৭টি বাউন্ডারির মার মারেন তিনি।
এরপর জুটি গড়েন ম্যাক্স ও’দাউত এবং টম কুপার। ৩৯ রানের জুটি গড়ার পর, দলীয় ৯৭ রানের মাথায় পড়ে দ্বিতীয় উইকেট। আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও’দাউদ হাত খুলছিলেন কেবল। যদিও ৩১ বলে করেছেন ২৯ রান। কিন্তু হাত খোলার মুহূর্তেই কেশভ মাহারাজের বলে রাবাদার হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদান নেন তিনি।
টম কুপারও ঝড় তোলেন প্রোটিয়া বোলারদের ওপর। ১৯ বলে ২টি করে বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি মেরে তিনি করেন ৩৫ রান। কলিন অ্যাকারম্যান তার ৪১ রানের ইনিংসটি সাজান ৩টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কার মারে। ৭ বলে ১২ রানের ইনিংসে ২টি বাউন্ডারি মারেন স্কট এডওয়ার্ডস। তাও দুটিই রিভার্স সুইপ থেকে।
প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে কেশভ মাহারাজ নেন ২ উইকেট। অ্যানরিক নরকিয়া ছিলেন সবচেয়ে কৃপণ। তাকে খেলতেই পারেনি ডাচ ব্যাটাররা। ৪ ওভারে দিয়েছেন কেবল ১০ রান। উইকেট নেন ১টি। এইডেন মারক্রাম নেন ১ উইকেট।