আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের শতাধিক সেনা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ককেশাস অঞ্চলের এই দুই প্রতিবেশী দেশের সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে ইরান।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বুধবার আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেইহুন বাইরামোভের সঙ্গে এক ফোনালাপে তার দেশের ওই প্রস্তাব তুলে ধরেন।বিতর্কিত নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে নতুন করে সংঘাত সৃষ্টি হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত কয়েকদিনের সংঘর্ষে দু’দেশের প্রায় ১০০ সেনা নিহত ও কয়েকশ’ সেনা আহত হয়েছে। এর আগে ২০২০ সালে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ৪৪ দিনব্যাপী যুদ্ধে উভয় দেশের প্রায় সাত হাজার সেনা ও কয়েকশ’ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছিল।
ওই যুদ্ধে নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা আজারবাইজান পুনরুদ্ধার করে। ১৯৯০-এর দশক থেকে এসব এলাকা জাতিগত আর্মেনীয়রা নিয়ন্ত্রণ করত। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ২০২০ সালের যুদ্ধ বন্ধ হলেও দু’দেশের মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমিত হয়নি বরং চাঙ্গা হয়েছে। ওই উত্তেজনার জের ধরে গত কয়েকদিন ধরে দু’দেশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে।
টেলিফোনালাপে আজারি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আব্দুল্লাহিয়ান জানান, রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে চলমান সংঘাত নিরসনের প্রচেষ্টা চালাতে চায় ইরান। তিনি বাইরামোভকে আরো জানান, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানসহ বিশ্বের প্রতিটি দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষা করার ওপর জোর দিয়ে এসেছে ইরান। ফোনালাপে আব্দুল্লাহিয়ান আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান উভয় দেশকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই মুহূর্তে আরেকটি যুদ্ধ ধারণ করার মতো অবস্থা এ অঞ্চলের নেই।