ইসরাইল অসলো শান্তিচুক্তিসহ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের ওপর বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোহাম্মদ শতেয়াহ।
পশ্চিমতীরের হেবরন শহরে একটি বার্ষিক উৎসবে শনিবার তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর সিনহুয়ার।
প্রতি বছর হেবরনে এ সময়টিতে আঙুর ফলের প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয়।
ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী ইসরাইলকে সব ধরনের জুলুম-নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ইসরাইলকে অসলো চুক্তি মেনে চলার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সব আইন মেনে চলতে হবে।
ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী এমন সময় ইসরাইলকে এ হুশিয়ারি দিলেন, যখন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন।
অসলো চুক্তি হচ্ছে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার মধ্যে হওয়া একাধিক চুক্তির সম্মিলিত রূপ।
এর আওতায় ১৯৯৩ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে অসলো চুক্তি-১ সই হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় মিসরের তাবায় ১৯৯৫ সালে অসলো চুক্তি-২ স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তিতে স্থির হয়, পশ্চিমতীর ও গাজা উপত্যকা থেকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী পর্যায়ক্রমে সরে যাবে।
পাঁচ বছরের জন্য ‘অন্তর্বর্তী স্বশাসিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ’ গঠিত হবে। এর পর জাতিসংঘের ২৪২ ও ৩৩৮ প্রস্তাবের ভিত্তিতে স্থায়ী সমাধান হবে। এর মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে লিখিত না হলেও এ ইঙ্গিত থাকে যে একদিন ইসরাইলের পাশে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠিত হবে।
এই চুক্তি শান্তিচুক্তি হিসেবে ইতিহাসে প্রখ্যাত। অসলো চুক্তি বাস্তবায়নের পূর্বোক্ত প্রক্রিয়াগুলো অসলোতে হয়েছিল খুব গোপনে। যার ফলে ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি হিসেবে পিএলও ইসরাইল রাষ্ট্র মেনে নেয়। ইসরাইলিরা মেনে নেয় যে, ফিলিস্তিনি লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছে।
অসলো চুক্তি অনুসারে প্যালেস্টাইন অথরিটি নামে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, যারা পশ্চিমতীর এবং গাজা উপত্যকায় স্বায়ত্তশাসন কায়েম করতে পারবেন।