ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে বিপাকে পড়েছে ভুক্তভোগী তরুণীর পরিবার।
মামলার আসামি ও তার সহযোগীদের হুমকিকে সপরিবারে এলাকা ছাড়া ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী। আজ রবিবার সকাল ১১টায় বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই তরুণী এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী বলেন, মামলা করার পর আসামি ও তার সহযোগীরা আমাকে এসিড মারাসহ পুরো পরিবারকে হত্যার পরে লাশ গুম করার হুমকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে এই মামলার সাক্ষীদেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা আদালতে সাক্ষ্য না দেয়। এমনকি তারা আমাদের বসতবাড়িতে আগুন দেওয়াও হুমকি দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ওই তরুণী আরও বলেন, ২০১৭ সালে চাকরি চাইতে কাঁঠালিয়ার তৎকালীন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে চেয়ারম্যান) এমদাদুল হক মনিরের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। চাকরির তদবিরের কথা ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল তাকে বরিশাল নগরীর আগরপুর রোডে তার বন্ধু মিঠু সিকদারের বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে মনির। ওইদিনই তথাকথিত এক কাজী ডেকে বিয়ের করার কথা বলে বিভিন্ন কাগজপত্রে তার সাক্ষর নেয় সে।
এরপর থেকে স্ত্রী পরিচয়ে মনির তার বাড়ি, আমুয়া বাজারে তার ৫তলা ভবনে, বরিশাল নগরীতে বন্ধু মিঠু সিকদারের বাসা এবং ঢাকার লঞ্চের কেবিনে তার সাথে মেলামেশা করে। একপর্যায়ে বিয়ের কাগজপত্র চাইলে মনির টালবাহানা শুরু করে এবং বিয়ে হয় নি বলে জানায়। এ ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট মনিরের বিরুদ্ধে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করি।এরপর থেকে আসামি ও তার সহযোগীরা হুমকি দিচ্ছে বলে ওই তরুণী দাবি করেন।