বিশ্ব আজ আতঙ্কিত অতিক্ষুদ্র এক ভাইরাসের সংক্রমণ দ্বারা। করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা স্থবির হয়ে পরায় পিছিয়ে পরা শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে বাসায় অভিভাবকদের তত্ত্বাবধায়নে অর্ধ-বার্ষিক বা প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করেছে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এমনকি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলেও খোঁজ নিয়ে জানা যায়। বাসায় পরীক্ষা নেওয়া নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে।
এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিম পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে কোভিড-১৯ এর কারণে বাসায় অভিভাবকদের তত্ত্বাবধায়নে পরীক্ষা আগামীকাল রবিবার (৩০ আগষ্ট) থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এই করোনা মহামারীর মধ্যে বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকা সত্বেও চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত বেতন ও পরীক্ষার ফিসহ যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করতে পরীক্ষার রুটিনের মধ্যে উল্লেখ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, তারা এই করোনা মহামারীর মধ্যে তাদের সন্তানদের জীবন ও ভবিষ্যত উভয় দিক নিয়েই চিন্তিত। এ সময় লেখাপড়ায় পিছিয়ে থাকলেও চলবে না তবে করোনার মধ্যে বিদ্যালয়গুলোর সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকা সত্বেও কেন বেতন পরিশোধ করে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। যদি বেতন এখন না নিয়েও পরীক্ষা নেয় তাহলে পরবর্তীকালে কেন এই বেতন পরিশোধ করতে হবে। তাই তারা সম্পূর্ণ বেতন বাতিলের দাবিও জানান।
এ ব্যপারে বাড়িতে পরীক্ষার ঘোষণা দেওয়া মিজমিজি পশ্চিম পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনা মহামারীর জন্য বিশ্ব আজ অস্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তবে মানুষ এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আমাদেরকে আমাদের সন্তানের ভবিষ্যত নিয়েও ভাবতে হবে। তাই সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা চাচ্ছি আমাদের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ফিরিয়ে আনতে। তাই আমরা প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীদের নিজ নিজ বাড়িতেই প্রশ্নপত্র ও খাতা পাঠিয়ে পরীক্ষা নিচ্ছি।
পরীক্ষার রুটিনের মধ্যে বেতন ও পরীক্ষার ফি পরিশোধ করার নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা বেতন দেওয়া বাধ্যতামূলক বলিনি। বেতন না দিয়েও ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে পারবে। আমরা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ায় কিভাবে স্বাভাবিক করা যায় সে জন্য কাজ করছি।
এছাড়াও নগরীর সিদ্ধিরগঞ্জ রেবতী মোহন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মিজমিজি পাইনাদী রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয় এবং আদমজী নগর এম. ডব্লিউ. উচ্চ বিদ্যালয়, গিয়াস উদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুল, সানারপাড় শেখ মোরতোজা আলী উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি পরীক্ষা নেওয়া চলমান রয়েছে ও নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষগুলো।