তাইওয়ান প্রণালি ঘিরে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্পর্ক দিন দিন তিক্ততায় রূপ নিচ্ছে। একই সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে নানা তৎপরতা শুরু করেছে বেইজিং, যা রীতিমতো হুমকি হয়ে উঠছে পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য। চীনকে মোকাবিলায় নিজেদের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে এবার একজোট হলেন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা।
তাইওয়ান প্রণালি এবং এ অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসি আচরণ উদ্বেগজনক মন্তব্য করে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে অস্ট্রেলিয়া ও জাপানকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।
এ সময় অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মারলেস বলেন, ‘এ অঞ্চলে এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। চীন তার চারপাশের বিশ্বকে এমন রূপ দিতে চাইছে, যা আগে কখনো আমরা দেখিনি।’
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনা প্রভাব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। এ লক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন দ্বীপদেশগুলোর জন্য ৮১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা ঘোষণা করে।
মূলত এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র তার কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদারের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস।