কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জাবেদ মুহাম্মদ কায়সার নোবেলের ২০ কোটি টাকা জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। কক্সবাজারের চারটি ব্যাংকে তার একাউন্ট থেকে এসব টাকা জব্দ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের এক কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে জাবেদ কায়সার নোবেলসহ আরো কয়েকজনের ব্যাংক হিসাব অনুসন্ধান করেছে দুদকে। অনুসন্ধানে জাবেদ কায়সার নোবেলের নামীয় কয়েকটি ব্যাংকের কক্সবাজার শাখায় ২০ কোটির বেশি টাকার সন্ধান পাওয়া যায়। ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় কথিত মধ্যস্থতার (দালালি) নামে অবৈধ উপায়ে এসব টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তাই নোবেলের নামীয় এসব ব্যাংক হিসাব জব্দ বা টাকাগুলো জব্দ দেখানো হয়েছে।
এর আগে কক্সবাজারে কর্মরত সার্ভেয়ার ও সংশ্লিষ্টগণ একে অপরের যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে অসৎ উদ্দেশ্যে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে সুবিধা গ্রহণের দায়ে মোট দশ জনের ব্যাংক হিসাব বিবরণ চেয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে দুদকের নোটিশ পাঠানো হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে কক্সবাজার জেলার ভূমি অধিহণের বিভিন্ন প্রকল্প হতে জমির মালিকদের নিকট থেকে ৯৩ লক্ষ ৬০ হাজার ১৫০ টাকা ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন পূর্বক ভোগ দখলে রেখে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মোট দশ জনের ব্যাংক হিসাবের বিবরণ চাওয়া হয়।
যাদের হিসাব বিবরণ চাওয়া হয়েছে তারা হলেন কক্সবাজার পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউসিলর জাবেদ মুহাম্মদ কায়সার নোবেল, নুরুল কবীর, আহমদ হোসেন, ইনানী, মোসলেম উদ্দিন ভূঁইয়া, আরিফুর রহমান, মহিবুল্লাহ, মোফিজুর রহমান ও আব্দুছ সাত্তার।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, ২৫ আগস্ট এর মধ্যে উক্ত ব্যক্তিদের রেকর্ডপত্র সত্যায়িত অনুলিপি উপ-কমিশনারের কার্যালয়ে প্রেরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের আদেশ দেয়া হয়।
উক্ত ব্যক্তিদের নামে অথবা তাদের পরিবারের কোন সদস্য অথবা তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক হিসাবের কেওয়াইসি, আগামী আগস্ট হতে অদ্যবধি হিসাবে হিসাব বিবরণী এবং ১ লাখ টাকার ঊর্ধে প্রত্যেকটি লেনদেনের ডেবিট ক্রেডিট ভাউচারসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র জমা দিতে বলা হয়। যার প্রেক্ষিতে কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জাবেদ মুহাম্মদ কায়সার নোবেলের ২০ কোটি টাকা জব্দ করেছে দুদক।