নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের একমাত্র কৃতিত্ব বাফুফের। এমন মন্তব্য করেছেন ফেডারেশনটির সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। ফুটবলার তৈরি করতে ক্লাব কিংবা জেলা কেউই এগিয়ে আসেনি। বাফুফে চ্যালেঞ্জ নিয়ে তাদের তৈরি করেছে, তাই নারীরা দক্ষিণ এশিয়া জয় করতে পেরেছে বলেও জানান তিনি। আসিয়ান রিজিয়ন জয় করার লক্ষ্য নিয়ে আগামী দুই বছরের পরিকল্পনা সাজানো হবে বলেও জানান বাফুফে সভাপতি।
ছাদ খোলা বাসে ঐতিহাসিক সংবর্ধনা। বিরোচিত বেশে নারী ফুটবলারদের দেশে ফেরা। লাল-সবুজ ফুটবলে এক অনন্য উপলক্ষ্য। তবে আমরা হয়তো অনেকেই খবর রাখিনি পেছনের গল্পের। যেখানে রয়েছে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় দীর্ঘ সময়ের অধ্যবসায় আর আত্মনিবেদন।
ফুটবল উন্নয়নে পুরো পৃথিবী চলে এক নিয়মে, আর বাংলাদেশ উল্টো পথে। এখানে সব দায় যেন শুধুই বাফুফের। ক্লাব কিংবা সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো কেবলই নিরব দর্শক। তারপরও চ্যালেঞ্জ নিয়েছে ফেডারেশন। আর তাই ঐতিহাসিক এই অর্জনের একক কৃতিত্বের দাবি বাফুফে প্রধানের।
গণমাধ্যমকে সালাউদ্দিন বলেন, ‘সত্যি বলতে মেয়েদের এমন অর্জনের পেছনে সকল কৃতিত্ব বাফুফের কর্মকর্তা ও কোচদের। স্কুল, ক্লাব বা জেলার কোনো কৃতিত্ব নেই। এরা সবাই বাফুফের সম্পদ।’
সাবিনা-স্বপ্না-কৃষ্ণারা জানান দিচ্ছে ওরা দক্ষিণ এশিয়ার সেরা। লক্ষ্য এখন এই অর্জন ধরে রাখা। তবে স্থির থাকলে চলবে না। কাজ করতে হবে পরবর্তী পর্যায়ে পৌঁছাতে। আর তাই দুই বছরের পরিকল্পনা স্থির করছে বাফুফে। লক্ষ্য এবার সিঙ্গাপুর-থাইল্যান্ডের আসিয়ান অঞ্চলে আধিপত্যের জানান দেয়া।
এবিষয়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘সকল আসিয়ান দলকে হারানোর চেষ্টা করতে হবে আমাদের। এরপর ইস্ট। আমরা ওয়েস্ট থেকে ভালো। দক্ষিণ আমরা জিতে নিয়েছি। পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে আসিয়ান জয় করতে হবে।’
এ জন্য বাড়ানো হবে নারী দলের সামর্থ। টেকনিক্যাল ডিপার্টমেন্টে নিয়োগ দেয়া হবে বিদেশি স্টাফ। অনুশীলনে সংযোজন করা করা হবে উন্নত প্রযুক্তির।