চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। পানি কমার সাথে সাথে গত এক সপ্তাহে সদর উপজেলার আলাতুলী ইউনিয়নের শতাধিক বসতবাড়ি ও কমিউনিটি ক্লিনিক ও চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালডুবি নদী ভাঙ্গন ভয়াল আকার ধারণ করেছে।
এলাকার ৬০টি বাড়ি, একটি নির্মাণাধীন মসজিদ, আম ও বাঁশবাগানসহ প্রায় একশ’ বিঘা ফসলি জমি পদ্মা নদীর গর্ভে বিলিন। সদর উপজেলার আলাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুল হাসান কামাল আজ শুক্রবার জানান, পদ্মা নদীর পানি কমার সাথে সাথে আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে আলাতুলী ও পার্শ্ববর্তী গোয়ালডুবি এলাকায়।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে নদী ভাঙ্গনে আলাতুলী ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডে গত ২০ দিনে ১৫০টিরও অধিক বাড়িসহ একটি মসজিদ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, নদী ভাঙ্গনের ফলে এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আবদুল নামে এক কৃষক বলেন, কখন কিভাবে বা কোন স্থান ভাঙবে বলা মুশকিল। নদীর তলদেশের ঘূর্ণিস্রোতের কারণে চোখের সামনে একদিনে বহু ঘরবাড়ি পদ্মার বুকে তলিয়ে গেছে। দ্রুত এলাকায় ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এমনটিই প্রত্যাশা করেন তিনি।
এদিকে, চরবাড়ডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালডুবি এলাকার ভাঙ্গন কয়েকদিন ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। সেখানে বালু সিন্ডিকেট গড়ে উঠায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভাঙ্গন প্রসঙ্গে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারোয়ার জাহান বলেন, উজান থেকে ধেয়ে আসা পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করায় ঘূর্ণিস্রোতে নদীর পাড় ভাঙ্গছে। ফলে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা হচ্ছে।
বাংলার প্রবাহ/মাঞ্জুর হোসেন