বাংলার প্রবাহ রিপোর্ট: সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার ইসরায়েলের সঙ্গে ‘ঐতিহাসিক শান্তি’ চুক্তিতে পৌঁছেছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ বাহরাইন। দেশ দুটি নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মতি দিয়েছে।
শুক্রবার এমনটাই ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, বাহরাইন ও ইসরায়েল পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে (স্বীকৃতি) একমত হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ইসা আল খলিফার চুক্তির বিষয়ে কথা বলে একমত হওয়ার পর এ ঘোষণা দেয়া হয়। ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ চুক্তির একমাস না যেতেই এ ঘোষণা আসলো।
ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সম্পর্ক স্বাভাবিক করণকে অস্বাভাবিকভাবে দেখছে ফিলিস্তিন। এর জেরে বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ তীব্র সমালোচনা করে আরব-আমিরাতের। একই সঙ্গে আমিরাতকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। ফিলিস্তিনের শাসক গোষ্ঠী ও প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এ চুক্তির কড়া সমালোচনা জানিয়ে আসছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্তের পর, অশান্ত পুরো মধ্যপ্রাচ্য। আমিরাতের বিতর্কিত ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আবুধাবিতে নিজেদের দূতাবাস বন্ধ করেছে তুরস্ক।
অন্যদিকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইরান বলেছে, ফিলিস্তিনসহ গোটা মুসলিম উম্মাহ’র সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আমিরাত।ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের ইস্যুতে, আরব আমিরাতের সিদ্ধান্ত কেবল সাধারণ মানুষের প্রতিবাদেই থেমে নেই। উত্তেজনার ছড়িয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনেও।
কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইরান বলেছে, ফিলিস্তিনসহ গোটা মুসলিম উম্মাহ’র সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আমিরাত। আবুধাবির সিদ্ধান্তকে নির্বুদ্ধিতার পরিচয় হিসেবে আখ্যা দিয়েছে তেহরান।
রিসেপ তাইপে এরদোয়ান জানিয়েছেন, আমিরাতের এই একটি মাত্র পদক্ষেপই ফিলিস্তিনকে গ্রাস করতে পারবে না। আবুধাবিতে আমাদের দূতাবাস বন্ধ এবং তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করার মতো সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বোঝাতে চাই, আমরা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গেই আছি।
বাংলার প্রবাহ/সুমন