নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করার কারণেই অভাবনীয়ভাবে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে।
বুধবার (৬ জানুয়ারি) ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে আলী আকবর মেমোরিয়াল অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী স্কুলের অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কারণে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুজিবাদর্শ ধারণের কারণে। এর আগে অনেক সরকার এসেছে-গেছে। তারা মানুষের জন্য কিছু করে নাই। বারবার এদেশকে লুটপাট করেছে। দুর্নীতির আড্ডাখানা বানিয়েছে। মাদক দিয়ে যুবক-তরুণদের বিকলাঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়েছে। আজকে সেই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। আমরা গর্ব ও অহঙ্কার করে বলতে পারি বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এক সময় একটি রাস্তা বা কালভার্ট করার জন্য বিদেশি সাহায্য লাগত। সেই বাংলাদেশ এখন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, পায়রা বন্দর করছে। যেই পদ্মা সেতু নিয়ে খালেদা-ইউনূস ষড়যন্ত্র করেছিল। সেই সেতু আজ দৃশ্যমান হয়েছে। এসব উন্নয়নের মধ্য দিয়ে সমগ্র বিশ্ব বাংলাদেশকে দেখছে। বাংলাদেশকে এ জায়গায় নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।’
প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন আর কোনো মৌলিক সমস্যা নেই। চিকিৎসা ব্যবস্থা বাংলাদেশের মানুষের দোরগোড়ায়। কোনো মানুষ এখন আর বিনা চিকিৎসায় মারা যায় না। দেশে খাদ্যের অভাব নেই, বস্ত্রের অভাব নেই। বিনামূল্যে বই পাচ্ছে। এমন কোনো শিশু নেই যে শিশুটা স্কুলে যায় না। যারা গৃহহীন আছে, তাদের গৃহ দেয়ার কাজ চলছে। আমাদের অঙ্গীকার কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। সেভাবেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদের পদক্ষেপে এবং তার জাগরণের কারণে সমগ্র দেশব্যাপী অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীদের জাগরণ তৈরি হয়েছে। আজকে অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীদের আপন করে নেয়ার একটা মন মানসিকতা তৈরি হয়েছে। ১৯৯৬ সালে প্রথম সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতা চালু করেছিলেন।’
ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিনা জাহান লিটার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল প্রমুখ।
পরে প্রতিমন্ত্রী রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ মাঠে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।