রাশিয়া ইতোমধ্যেই করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে। ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে অনেকটা এগিয়েছে অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রোজেনেকা। তাই আর দেরি করতে চান না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্প। তাছাড়া সামনেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর এই মুহূর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র করোনা এবং অর্থনীতি দুই দিক থেকেই বেশ চাপে। তাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবার তড়িঘড়ি করোনার ভ্যাকসিন এনে সবাইকে চমকে দিতে চান। ১ নভেম্বরই আমেরিকায় করোনার টিকা বণ্টন শুরু করে দিতে চান ট্রাম্প। সেজন্য বিভিন্ন তার সরকারকে প্রস্তুত থাকতেও নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার হোয়াইট হাউস থেকে এক ভার্চুয়াল কনফারেন্সে ট্রাম্প তার দেশের প্রদেশগুলোকে জানিয়ে দেন যেন, ভ্যাকসিন আসবে নভেম্বরের শুরুতেই এবং তা বিতরণ করার জন্য চূড়ান্ত পরিকল্পনা করে ফেলতে হবে। করোনার ভ্যাকসিন কীভাবে বিতরণ হবে, তা ঠিক করতে হবে প্রদেশগুলোকেই।
মার্কিন সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ঠিক করেছে, আগে কাদের টিকা দেওয়া হবে, কী পদ্ধতিতে টিকার বিতরণ হবে, এসব যাবতীয় বিষয় নির্ধারণ করে টিকার জন্য আবেদন করতে হবে প্রদেশগুলোকে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে প্রদেশগুলোর জন্য আলাদা আলাদা পরিমাণ ভ্যাকসিন বরাদ্দ করা হবে।
করোনার টিকা তৈরির শেষ ধাপে পৌঁছে গেছে মার্কিন সংস্থা মোডার্না আইএনসি এবং ফাইজার আইএনসি। মোডার্না মার্কিন সরকারের সমর্থনে গবেষণার তৃতীয় পর্যায়ে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর ওপর টিকার চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু করেছে। অন্যদিকে ফাইজারের টিকার ট্রায়াল চলছে বিশ্বের বহু দেশে। দুটি টিকাই ট্রায়ালের একেবারে শেষপর্যায়ে। কিন্তু নভেম্বরের আগে এদের ট্রায়াল শেষ হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। ট্রায়াল শেষ না হলেও নভেম্বরের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টিকার আগমনের কথা ঘোষণা করে দিতে পারেন।
সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট ও মডার্ন হেল্থকেয়ার