বাংলার প্রবাহ রিপোর্ট: ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি পারাবত-১১ লঞ্চের কেবিনে এক নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. মনিরুজ্জামান (৩৪) নামে এক ব্যক্তিকে রাজধানীর মিরপুর-১ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত মঙ্গলবার মিরপুর দারুস সালাম পিন্সিপাল আবুল কাশেম রোডের সরকারি কোয়ার্টার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মনিরুজ্জামান গাজীপুরের কাপাসিয়ার টোক গ্রামের আব্দুস শহিদের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনিরুজ্জামান লঞ্চের কেবিনে জান্নাতুল ফেরদৌসি লাবনীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার করা স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছে পিবিআই।
বুধবার সকাল সোয়া ১০টায় নগরীর রূপাতলী এলাকায় পিবিআই কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পিবিআই বরিশালের পুলিশ সুপার মো. হুমায়ুন কবির।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করে বলে দাবি পিবিআই কর্মকর্তার।
গত সোমবার সকালে বরিশাল নদী বন্দরে আসা এমভি পারাবত-১১ লঞ্চের ৩৯১ নম্বর কেবিন থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই নারীর আঙ্গুলের ছাপ মিলিয়ে (ম্যাচিং) করে তার নাম জান্নাতুল ফেরদৌসি লাবনী এবং ঠিকানা মিরপুরের পল্লবী বলে জানতে পারে পুলিশ। পরে তার পরিবারের সাথে পুলিশ যোগাযোগ করলে গত মঙ্গলবার বিকেলে স্বজনরা বরিশাল এসে লাবনীর লাশ শনাক্ত করে। পরিবারের দেয়া তথ্য এবং প্রযুক্তির সহায়তায় গত মঙ্গলবার অভিযুক্ত মনিরুজ্জামানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলা তদন্ত কর্মকর্তা সদর নৌ পুলিশের ওসি আবদুল্লাহ-আল মামুন জানান, মনিরুজ্জামান গোপনে লাবনীকে বিয়ে করেছিল। গত রবিবার রাতে ঢাকা থেকে বরিশাল আসার পথে লঞ্চের কেবিনে পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে কথাবার্তার এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে লাবনীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মনিরুজ্জামান। সোমবার ভোরে লঞ্চটি বরিশাল নদী বন্দরে নোঙ্গর করার পর মনিরুজ্জামান দ্রুত মেনে সড়ক পথে ঢাকা চলে যায়।
এ ঘটনায় সোমবারই নৌ পুলিশের উপ-পরিদর্শক অলক চৌধুরী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃত মনিরুজ্জামানকে আদালতে সোপর্দ করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ-আল মামুন।
বাংলার প্রবাহ/এস এম হক