প্রথমবারের মতো জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ করছে ফ্রান্স। গেল মাসে জ্বালানি ঘাটতি কমানোর লক্ষ্য নিয়ে দুই দেশের মধ্যে এক জ্বালানি সংহতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রাথমিকভাবে তারা প্রতিদিন একত্রিশ গিগাবাইট ঘণ্টা পাঠাবে বলে জানিয়েছে ফরাসি গ্রিড অপারেটর জিআরটিগ্যাজ। খবর বিবিসি।
ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ইউরোপজুড়ে জ্বালানির তীব্র সংকট দেখা দেয়। ফ্রান্সও তার বাইরে নয়। ক্রমবর্ধমান জ্বালানির সংকটের মধ্যেই ইউরোপীয় সংহতির অংশ হিসেবে প্রথমবার জার্মানিতে গ্যাস পাঠিয়েছে ফ্রান্স।
জ্বালানি ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তারই অংশ হিসেবে পাইপলাইনের মাধ্যমে এই গ্যাস পাঠানো হবে। ফ্রান্সের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বার্লিন। নতুন এই গ্যাসপ্রবাহ জার্মানির দৈনিক চাহিদার ২ শতাংশের কম হলেও একে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গেল মাসে জ্বালানি সংহতি চুক্তির আওতায় দুই দেশ অঙ্গীকার করে, প্রয়োজনের সময় ফ্রান্সকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে জার্মানি, তার বিপরীতে গ্যাস দিয়ে জার্মানিকে সহযোগিতা করবে ফ্রান্স।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো এক বক্তব্যে বলেছেন, এখনই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময়, আর তা না হলে গুরুতর সংকটে পড়তে হবে।
ফ্রান্সের জিআরটিগ্যাজ কোম্পানি বলেছে, ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট নতুন জ্বালনি সংকট পরিস্থিতিতে ফ্রান্স সরাসরি প্রতিবেশী দেশ জার্মানিতে গ্যাস পাঠিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকেই গ্যাসের দাম বাড়তে থাকে। যুদ্ধ শুরুর আগপর্যন্ত জার্মানির প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদার ৫৫ শতাংশ রাশিয়ার ওপর নির্ভর ছিল, এখন তা কমে ৩৫ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। আর জার্মানি রুশ তেলের ওপর নির্ভরশীল, যা শূন্যে নামিয়ে আনতে চায় দেশটি। ইউক্রেনে অভিযানের পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে গ্যাস সরবরাহকে ব্যবহারের অভিযোগ করে আসছে।